মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি তার উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের আর্থিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে অন্তত ৫০টি দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য প্রকাশ করেছে, এবং তারা বলেছে, এই সহায়তা বন্ধ হওয়ার কারণে এইচআইভি, পোলিও, এমপক্স, এবং বার্ড ফ্লু সংক্রান্ত নানা স্বাস্থ্য কর্মসূচি ব্যাহত হয়েছে।
ডব্লিউএইচও'র প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, মার্কিন সরকারের সহায়তা স্থগিত করার কারণে ৫০টি দেশে এইচআইভি চিকিৎসা, পরীক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে জড়িত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ক্লিনিকগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি ইউএসএইড সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তার যুক্তি ছিল, এই সংস্থার ব্যয় "সম্পূর্ণভাবে ব্যাখ্যাতীত"। ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, ইউএসএইডের ১০ হাজার কর্মীর মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে এবং সহায়তার কার্যক্রম স্থগিত করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে রোগের বিস্তার বাড়তে পারে এবং চিকিৎসা গবেষণায় বিলম্ব হতে পারে। মার্কিন প্রশাসন জানায়, ৮৫ দিনের মধ্যে বিদেশে সহায়তার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে এবং এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়া, ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা এই সিদ্ধান্তের পর প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।